ব্লাড ব্যাগের ভুল হ্যান্ডলিং: নীরব বিপদ

আমরা অনেক সময় রোগীকে কাল ব্লাড দেওয়া হবে ঠিক করে নার্স/সিএ/এমও দের বলে রাখি সকালে ব্লাড ব্যাগ এনে রাখতে ব্লাডব্যাংক থেকে। পরে দেখা যায় কোনও কারণে সেটি বাতিল হয়েছে। তখন আবার ব্যাগটি কয়েক ঘণ্টা পর ব্লাডব্যাংকে ফেরত পাঠানো হয়, এবং পরবর্তীতে অন্য রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু জানেন কি, এই “ওয়ার্ডে আনা → বাতিল → আবার ফ্রিজে ফেরা” চক্র রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে?
কেন এমন হয়?
-RBC membrane তৈরি হয় lipid bilayer + proteins (spectrin, ankyrin) দিয়ে, যা cell কে নমনীয় রাখে।
-ঠান্ডায় (2–6 °C) মেমব্রেন শক্ত হলেও স্থিতিশীল থাকে।
-গরমে (25–37 °C) মেমব্রেন বেশি পানি শোষণ করে নরম হয়ে যায়, permeability বেড়ে যায়। দ্রুত তাপমাত্রা পরিবর্তনে micro-cracks তৈরি হয়।
-RBC এর ভেতর–বাইরের Potassium–Sodium ভারসাম্য এসময় নষ্ট হয়। গরমে Na⁺/K⁺ ATPase পাম্প সক্রিয় হয়, আবার ঠান্ডায় নষ্ট হয়। এর ফলে osmotic swelling ও hemolysis শুরু হয়।
ফলাফল কী হয়?
Plasma-তে free hemoglobin এবং extracellular potassium বেড়ে যায়।
এগুলো খালি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু রোগীর শরীরে প্রবেশ করলে:
-RBC survival কমে যায়।
-Fever, hemoglobinuria, arrhythmia, cardiac arrest পর্যন্ত হতে পারে।
“রোগীর তো কিছু হয়নি” — এটা ভ্রান্ত ধারণা
আমরা অনেক সময় বলি, “এমন করেছি, রোগীর তো কিছু হয়নি।” আসলে রোগীর সমস্যা হয়। কিন্তু সে বোঝে না এর কারণ ব্লাড, কারণ সে এমনিতেই অসুস্থ থাকে। তাই এভাবে নীরব ক্ষতি চলছে বছরের পর বছর।
এক ব্যাগ ব্লাডের পেছনে থাকে একজন সুস্থ দাতার নিঃস্বার্থ অবদান। তাই এর প্রতিটি ফোঁটা যেন নিরাপদে এবং সঠিকভাবে রোগীর শরীরে পৌঁছায়—এটাই আমাদের দায়িত্ব।
ব্লাডব্যাগ একবারই ফ্রিজ থেকে বের করার সঠিক পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করা উচিত। সচেতনতাই কাম্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *