প্রেশার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খেলে কি রক্তদান করা যায়? একেবারে সাধারন জিজ্ঞাসা আমাদের মাঝে। আমরা যখন রক্তদান করি তখন প্রায় ৪৫০ মিলি পরিমান রক্ত শরির থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। এই পরিমান সাধারণভাবে সব রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে একই থাকে। যদিও সেটি করা উচিত নয় কারন ওজন হিসাবে আমাদের শরিরে রক্ত থাকে এবং সেই পরিমান রক্তের ১০% পর্যন্ত আমরা স্বভাবিক ভাবে দান করতে পারি মানে এই পরিমান রক্তদান করলে শরির সেটা মানিয়ে নিতে পারে। এই মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে heart rate বৃদ্ধি পায় এবংblood vessels গুলো tightens হয়ে pressure maintain করে।
আমরা যেসকল ওষুধ গ্রহন করি সেগুলোর কাজ করার ধরন নানান রকমের সেটি আমরা জানি। এসব ওষুধ গ্রহনের পর ৩০-৬০ মিনিটের মাঝে রক্তে পৌছায় এবং প্লাজমাতে পৌঁছায়তে সময় লাগে ১-৪ ঘণ্টা। এরপর সেটি পিক লেভেলে পৌছাতে মানে প্রেশার নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ কাজটা করে (Dilating blood vessels, Reducing heart workload, Lowering fluid volume যদি diuretic হয়) ২-৬ ঘণ্টার মাঝে।
তাই প্রেশার নিয়ন্ত্রনের ওষুধ গ্রহনের পর, প্রথম ২-৬ ঘণ্টার মাঝে রক্তদান না করাটাই উত্তম। এর আগে এবং পরে দান করা যেতে পারে যদি ঐ মুহূর্তে রক্তদানের ক্রাইটেরিয়া ঠিক থাকে।
কি সে ক্রাইটেরিয়া?
Blood Pressure Must Be Well-Controlled
-
Systolic pressure: 100–180 mmHg
-
Diastolic pressure: 60–100 mmHg
-
Heart rate: 50–100 bpm
-
If blood pressure is within this range at the time of donation without symptoms, the person is usually eligible.
এখানে আরও কিছু কথা রয়েছে। প্রেশারের ওষুধ যদি খুবই সাম্প্রতিক সময় মানে ২-৪ সপ্তাহের মাঝে শুরু হয় অথবা সাম্প্রতিক ডোজের সামঞ্জস্য করার প্রয়োজন হয়েছে তবে তিনি রক্ত দিতে পারবেন না। কারন এই সময়টা রোগীর শরিরে ওষুধ কাজ করছে কিনা তা জানার পিছনে ব্যয় হয়। এই সময়ে রক্তদান করলে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে না রক্তদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা বুঝতে কষ্ট হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এক সময়ে একের অধিক প্রেশারের ওষুধ গ্রহন করলে রক্তদান করার সুযোগ ছিলনা কারন দুইটি ওষুধের যৌথ কাজের ফলাফল রক্তদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন ব্লাড সেন্টার গুলো রক্তদাতাদের বিষয়ে অধিক সচেতন হওয়ায় সেটি থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তবুও রক্তদানের পূর্বে বেশি করে পানি পান করা (৫০০ মিলি থেকে ১ লিটার), রক্তদান শেষেই দাড়িয়ে না যাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়া এসব খেয়াল রাখা দরকার।
রক্তদান কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসার পর যদি মাথা ঘুরান বা হাল্কা ভাব হয় তাহলে দাঁড়ান অবস্থা থেকে বসে যেতে হয়। সেটি করেও যদি ভালো না লাগে তবে শুয়ে পরার সুযোগ থাকলে সেটি করতে হয় নয়ত বসে থাকা অবস্থায় দুই হাঁটুর মাঝে মাথা নিচু করে বসে থাকতে হয় যাতে রক্ত পর্যাপ্ত ভাবে মাথায় পৌঁছায়তে পারে। এরপরও ভালো না লাগলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা উচিত।
রক্তদান একটি মহতী কাজ। তবে সেটি করতে গিয়ে ঝুঁকির মাঝে যাতে কেউ না পরে সেটির দিয়ে রক্তদান কেন্দ্র ও রক্তদাতা দুইয়েরই খেয়াল রাখা উচিত।