ট্রান্সফিউশনের সময় আমরা অনেক সময়ে এলারজি জাতীয় রিয়েকশান দেখে থাকি। তাই খুবই সাধারন জিজ্ঞাসা থাকে আমরা কি ট্রান্সফিউশন চালিয়ে যাব না ব্লাড ব্যাগ ফেলে দিব?
যখন রক্ত শরিরে প্রবেশ করে তখন আগে থেকেই অনেক সময়ে রোগীর রক্তে তৈরি হয়ে থাকা IgE antibodies গুলো (খাবার, ওষুধ সহ নানাভাবে) নতুন antigens এর সাথে আবদ্ধ হয়ে mast cell এবং basophil কে degranulation করতে সাহায্য করে। ফলে অনেক mediators release হয়। এর দ্বারাই itching, hives, rash লক্ষণ দেখা দেয়। এগুলো ঘটে যায় সাধারনত মিনিটের মাঝ থেকে শুরু করে ১ ঘণ্টার মাঝে। কত তাড়াতাড়ি এটি তৈরি হবে তা নির্ভর করে কত দ্রুত রক্ত রোগীর শরিরে প্রবেশ করে , কোন কম্পোনেন্ট দেওয়া হচ্ছে (whole blood, FFP, Platelet concentrate) এবং sensitivity এর উপরে।
মূলত এগুলো Type I hypersensitivity এবং IgE-mediated/ mast cell-mediated কিন্তু কোনোভাবেই Type IV delayed reactions নয়। ফলে কয়েক ঘণ্টা পর অথবা কয়েকদিন পর হওয়ার সুযোগ নেই।
রক্ত চলাকালীন সময়ে এমন হলে সাধারন ভাবেই antihistamines দিলে লক্ষণ চলে যায়। Steroid ভূমিকা নেই সরাসরি। লক্ষণ চলে যাওয়ার পর (১৫-৩০ মিনিট পরেই সাধারনত ঠিক হয়ে যায়) পুনরায় ট্রান্সফিউশন শুরু করা যায়। এরপর কি আবারও সুযোগ রয়েছে এমন হওয়ার? ওষুধ তো দেওয়াই হয়েছে তাই আবার না হওয়ার ঝুঁকি মুক্ত এমনটাই আমরা পেয়ে থাকি। তবে পুনরায় আবার হতে পারে।
কারন ডোনারের রক্তে উপস্থিত allergen গুলো পুনরায় প্রবেশ করা মাত্রই Mast cells re-activated হওয়ার সুযোগ পায়। Antihistamines গুলো সারা দেহের রিসেপ্টর গুলোতে শতভাগ পৌঁছায়তে কিছুনা কিছু থেকে যায়। এছাড়া Mast cells থেকে Leukotrienes, Prostaglandins ইত্যাদি বের হওয়ার সুযোগ থেকেই যায়। এসব কারনে ব্লাড চলাকালীন সময়ে পুনরায় লক্ষণ আসতে পারে। তাই পুনরায় antihistamines করার সুযোগ থাকে।
এখন যদি পুনরায় আসে লক্ষণ তাহলে?
তখন আর সেই ব্যাগ ব্যবহারের সুযোগ নেই। শরিরের immune response গুলো যা allergens দিয়ে হয় তা not linear, but exponential হিসাবেই হয়। তাই First reaction: minimal mast cell degranulation, Second reaction: more histamine and cytokines released কিন্তু Third or repeated: massive release হয়ে anaphylaxis ঘটানোর সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয় বেশীরভাগ সময়ে।
মাথায় রাখা উচিত প্রথম, দ্বিতীয় যখনই হোক যদি নিচের লক্ষণ থাকে তবে সেই ব্যাগ আর চালিয়ে যাওয়া নিরাপদ নয়।
-
Difficulty breathing, wheeze
-
Facial or tongue swelling
-
Hypotension or tachycardia
-
Back pain, anxiety, or restlessness
যেহেতু পরিক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন এসব পরিস্থিতিতে তাই সযত্নে লক্ষণ সমূহ ভালো করে দেখে ব্যবস্থা নিলে রোগীর উপকার বেশি করা যায় কারন রক্ত জোগাড় করা বেশীরভাগ সময়েই কঠিন বিষয় রোগী এবং তার পরিবারের জন্য।